আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের পর সংলাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ঐক্যফ্রন্ট

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই সংলাপে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টের দুই শীর্ষনেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, তারা আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেলে ফ্রন্টে আলোচনা করার পর সংলাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নেবেন।

এর আগে রবিবার দুপুরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল, তাদের আবারও আমন্ত্রণ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা এবং আশপাশের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ের দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদের সঙ্গে যৌথ সভায় তিনি এ কথা জানান।

রবিবার সন্ধ্যায় ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা তো বলেছি সব সময় সংলাপের পক্ষে, আলোচনার পক্ষে। এবারও প্রথমে সংলাপের প্রস্তাব আমিই দিয়েছিলাম।

কামাল হোসেন বলেন, ‘জানতে চাইবো কী বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর পার্টিতে বসে, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা তো সব সময় সংলাপের পক্ষে। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।’

গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় নতুন বছরে দেশকে সংকটে না ফেলে সংবিধানসম্মতভাবে একটি নতুন নির্বাচনের জন্য জাতীয় সংলাপের আয়োজন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন কামাল হোসেন।

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তারা চাইলে ডাকবেন, তারপর কী করবেন, সেটা আমরা কী করে বলবো। আমরা তাদের আমন্ত্রণ পেলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেবো। ’

সংলাপের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, ‘এটা কিসের সংলাপ? সংলাপটা কী? সংলাপ হতে পারে যে ফ্রেশ নির্বাচন দেবো, সবচেয়ে বড় বিরোধী দল এই নির্বাচনে যেহেতু সংসদে আসেনি, সেহেতু নির্বাচনের বিষয়ে কথা হতে পারে।’

তবে এই সংলাপে কোনও কাজ হবে না, এমনটিও বলেছেন জমিরউদ্দিন সরকার।

গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে গণভবনে সংলাপে অংশ নেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৭ নভেম্বর আবারও আলোচনা হয় সরকার পক্ষ ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে। দুই দফা আলোচনায় কোনও সমাধান পায়নি বলে অভিযোগ করে আসছে ঐক্যফ্রন্ট।