সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয় সমাবেশ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনও বিষয় নেই। যে নির্বাচন নিয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনও সংশয় নেই, গণতান্ত্রিক বিশ্বের কোনও প্রশ্ন নেই, সেখানে সংলাপের প্রশ্ন হাস্যকর।’
১৯ জানুয়ারি বিজয় সমাবেশের কথা তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিশাল বিজয় বিশাল দায়িত্ব। বিজয়ী দলের অনেক দায়িত্ব। তাই জনদুর্ভোগকে মাথায় রাখতে হবে। মহাবিজয়ে কেউ যেন মহাদাপট দেখাতে না যান। এ মহাবিজয় থেকে জনগণের কাছে আরও বিনয়ী হবেন।’ এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে কিছুটা জনদুর্ভোগ হতে পারে—এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
দল ও সরকার আলাদা করার প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিজয়কে যদি সংহত করতে চাই তাহলে আমাদের দল গোছাতে হবে। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ বিজয় চাইলে দলের ভেতরের সমস্যা আগে ঠিক করতে হবে। এই সমস্যাগুলো অনতিক্রম্য নয়, অতিক্রম্য।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আর বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর প্রমুখ।
আরও পড়ুন...