আ. লীগ ক্ষমতা আসার পর জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে: ইসলামী আন্দোলন







57c2d6de329543fd4a08b1320aff67f6-56f6b716983dcআওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসার সঙ্গে সঙ্গে চালের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, “কথিত আছে ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই চাল ও লবণের মূল্যবৃদ্ধি পায়’। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।”

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি অভিযোগ করেন।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘লবণের দাম না বাড়লেও খাদ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করার পর চালের দাম সামান্য কমেছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সীমান্তে পেঁয়াজের কেজি ৪-৫ টাকায় বিক্রি হলেও ঢাকায় ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের অতি মুনাফালোভের কারণেই বাজারের এই ঊর্ধ্বগতি। ফলে কৃষকরা তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না, অন্যদিকে ক্রেতারাও ন্যায্য দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারছেন না। বাজারের এই মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা অতিদ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতাকে আগামী রমজান পর্যন্ত টেনে নিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাবে।’
আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতা এবং খাদ্যমন্ত্রীর পচা গম আমদানির কেলেঙ্কারির কথা জনগণ এখনও ভোলেনি বলেও মন্তব্য করেন মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর কারসাজিও দুর্নীতির আওতায় আসে। এ ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা কার্যকর হতে হবে। আর এটাই জনগণের দাবি।’ প্রধানমন্ত্রী ‘জিরো টলারেন্সে’র ঘোষণায় দৃঢ় থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জনগণ মনে করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।