শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যারা এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসন করতে হবে, সুচিকিৎসা দিতে হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। পাশাপাশি ওই সরু এলাকা থেকে রাসায়নিক কারখানার গুদামগুলো সরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে এরকম ঘটনা বারবার ঘটতে থাকবে।’
গার্মেন্টসের শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রমিক সংগঠনগুলোর হিসাব মতে ৯৯টি গার্মেন্টসের প্রায় ১১ হাজার শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। শুধু ছাঁটাই করেই তারা থামেনি, সাড়ে তিন হাজার শ্রমিকের নামে ৩৪টি মামলা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গার্মেন্টস মালিকদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা, তাদের ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমরা রাস্তায় নামবো, আন্দোলন করবো, প্রয়োজনে হরতালের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বজলুর রশিদ, নারীনেত্রী জলি তালুকদার, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম, বাসদ সদস্য আহসান হাবিব বুলবুল প্রমুখ।