ফখরুলের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন কঠিন হতে পারে: তথ্যমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন না করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্য মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করা কঠিন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

রবিবার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার পুরনো শারীরিক সমস্যাকে বড় করে দেখিয়ে আপনারা দয়া করে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। সকাল বেলা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি জানি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যদি এ বিষয়ে বেশি কথা না বলেন, তাহলে উনার পক্ষে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করা কঠিন হতে পারে। এজন্য উনাকে বলতে হয়। তাই বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই গঠনমূলক সমালোচনা হোক। এর পাশাপাশি অর্জনের জন্য প্রশংসারও তো দরকার। তা না হলে তো রাষ্ট্র ও জাতি এগোতে পারবে না। সমগ্র পৃথিবী যখন সরকারের প্রশংসা করে, তখন মির্জা ফখরুল সাহেবরা প্রশংসা করতে পারেন না। তারা ব্যস্ত আছেন বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথা কতটুকু বাড়লো, কিংবা কমলো সেটির মধ্যে। আমি খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, খালেদা জিয়া হাঁটুর এই ব্যথা নিয়েই দুবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুবার বিরোধী দলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বিএনপি'র মতো একটি দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। এটি তার নতুন অসুখ নয়। এরপরও খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা আন্তর্জাতিক মানের উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক যখন অসুস্থ হন, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যখন, তখন তাকে কোনও প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার সেখানে যে চিকিৎসা হয়েছে, এই চিকিৎসা যে বিশ্বমানের, সিঙ্গাপুর থেকে ডাক্তারদের যে দল এসেছিল তারা বলেছে। ভারত থেকে পৃথিবীর অন্যতম একজন বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট এসেছিলেন, তিনিও বলেছেন এখানে বিশ্বমানের চিকিৎসা হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে নীতি আপনারা অনুসরণ করছেন এবং নির্বাচন থেকে পালানোর যে নীতি অবলম্বন করছেন, আপনারা এই নীতি থেকে সরে আসুন। আমরা চাই একটি শক্তিশালী দল হিসেবে বিএনপি থাকুক এবং আমাদের গঠনমূলক সমালোচনা করুক। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন উন্নত রাষ্ট্র গড়ার, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির যারা প্রতিবন্ধক, আসুন তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলি।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী, কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল, চিত্রনায়ক শাকিল খান এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।