বঙ্গবন্ধুর জাতীয় ঐক্যের ডাক আজও প্রাসঙ্গিক

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি- ফোকাস বাংলা)প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। সে সময় বাংলাদেশ ছিল দীর্ঘদিন শোষণ-বৈষ্যমের শিকার। তিনি যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলছিলেন, তখনও বারবার একের পর এক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তখন দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। তার সেই জাতীয় ঐক্যের ডাক আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক।
সোমবার (১৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন ‘১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে স্বাধীন করার চিন্তা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সে সময় ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। এভাবেই ধাপে-ধাপে তিনি আন্দোলন-কর্মসূচির পরিকল্পনা করেন। আর তার ফলাফলই আমরা পেয়েছি মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মনে মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করার সাহস যুগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য তিনি সংগ্রাম করেন। কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির পর যখন তিনি দেখলেন পাকিস্তান নামে যে দেশটি হলো সে দেশটিই বাঙালিদের শোষণ করে। তখন তাদের হাত থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনটা তিনি শুরু করেছিলেন বাংলা ভাষায় কথা বলার আন্দোলনের মাধ্যমে।’

ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা বিপ্লবের পর যেকোনও দেশের সমাজে বিবর্তনের সৃষ্টি হয়। আর সেই বিবর্তনের ফলে কিছু মানুষ হঠাৎ ধনী শ্রেণিতে পরিণত হয়। আবার অনেক উচ্চবিত্ত মানুষ অনেক সময় তাদের ধন-সম্পদ ধরে রাখতে পারে না। কাজেই একটা গণতান্ত্রিক ধারা ধরে রাখা দরকার ছিল। কারণ সেই সময় পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক ধারা ছিল না। সেই বিষয়টা ভেবেই তিনি দেশ পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।