ভোটারবিহীন উপজেলা নির্বাচনে দখলদারিত্ব নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা নিজেরাই খুনখারাবিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রহীনতা এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুপস্থিতির কারণেই নির্বাচনে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। সরকার হুমকি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।’
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচন শেষে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের ব্রাশফায়ারে সাতজন নিহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি আরও বলেন, ‘একতরফা উপজেলা নির্বাচনে জনগণ কোনও সাড়া দেয়নি। কারণ, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনকে জনগণ বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না। তারা জনগণের আস্থা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। বিরোধী দলহীন একদলীয় শাসনই এই সরকারের টিকে থাকা একমাত্র ভরসা। তাই দেশকে বিরোধী দলহীন করার জন্য সরকার তার সরকারযন্ত্রকে যত্রতত্রভাবে ব্যবহার করছে। বিএনপিসহ বিরোধী দল নিশ্চিহ্নকরণের যাবতীয় উদ্যোগ আয়োজনে কোনও কমতি নেই। বিনা ভোটে স্থানীয় ক্ষমতা আয়ত্তে নিতে আধিপত্যের লড়াইয়ে নির্বাচনি দায়িত্বরত কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নারী সদস্যসহ অন্যদের প্রাণ ঝরিয়ে দেওয়া হলো।’
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ‘সংসদ নির্বাচনে মধ্যরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের দুর্বৃত্তরা। জনগণের কাছে জবাবদিহি নেই বলেই ক্ষমতাসীন নেতারা স্থানীয় ক্ষমতা দখল করতে প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতায় রক্ত ঝরাচ্ছে। হিংসা-বিদ্বেষ ক্ষমতাসীনদের রাজনীতির কর্মসূচি হওয়ার কারণে মানুষ হত্যার মতো নারকীয় ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে।’
বাঘাইছড়িতে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ওপর সুপরিকল্পিত আক্রমণ হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’
নেদারল্যান্ডসের ইউট্রেখট শহরে একটি ট্রামে বন্দুকধারীদের গুলিতে তিনজন নিহত ও ৯ জন আহত হওয়ার ঘটনায়ও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।