সোমবার (২৫ মার্চ) বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
এতে ১৪ দলের মুখপাত্র এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীরা নিস্তেজ হলেও নিঃশেষ হয়ে যায়নি। এদের বিরুদ্ধে ১৪ দলের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি, এ আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে করে যেতে হবে। বিএনপি-জামায়াত-রাজাকাররা এখনো গণহত্যা দিবস মানে না। আগামীতে তারা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে -এ জন্য দেশব্যাপী তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে জাতিসংঘে পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ নাসিম।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানি শাসকরা ভীত হয়ে ২৫ মার্চ কালো রাতে গণহত্যা চালায়। তবু পৃথিবীর ইতিহাসে বৃহত্তম এ গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ৩০ লাখ মানুষ হত্যা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণহত্যা।’
বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের সময় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসক ও সেনাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গণআজাদী লীগের এস কে শিকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৮, ৩০ ও ৩১ মার্চ আলোচনা সভার কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
কর্মসূচি শুরুর আগে নেতৃবৃন্দ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যায় জীবনদানকারী শহীদদের স্মরণে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ১৪ দলের নেতারা।