সানাউল্লাহকে মনোনয়ন না দেওয়া ভুল ছিল: ব্যারিস্টার মওদুদ

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (ফাইল ছবি)

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়াকে মনোনয়ন না দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেন, ‘সানাউল্লাহ মিয়াকে বাদ দিয়ে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রার্থী করা হয়। এই পরিবর্তন অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানরা সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন না বলে আওয়ামী লীগও প্রথমে ঘোষণা দিয়েছিল। কারণ, আইনগত দিক থেকে তারা জাতীয় নির্বাচনের জন্য অযোগ্য। অথচ আমরা জেনে শুনে শুধু সানাউল্লাহর প্রতি অবিচারই করিনি, একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে নমিনেশনও দিয়েছি।’  

বৃহস্পতিবার (২ মে) সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থতা কামনা এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার রোগ মুক্তি এবং প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান খানের স্বরণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া যে মামলায় কারাবন্দি, এটা একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা, তার কারাবন্দি থাকা অবস্থাও রাজনৈতিক, জামিন না দেওয়াও রাজনৈতিক। কারণ আমরা সবাই জানি, পাঁচ বছরের সাজার মামলায় আপিলের সঙ্গে জামিন আবেদন করলে জামিন হয়ে যায়। মামলা নিষ্পত্তি করতে অনেক সময় লাগে, এজন্য আমাদের জজ সাহেবরা জামিন দিয়ে দেন। কিন্তু খালেদা জিয়া বিরোধীদলের বলে আইনের প্রয়োগ এক রকম, আর যারা সরকারপন্থী তাদের ক্ষেত্রে এই প্রয়োগ অন্যরকম করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ মাসেও খালেদা জিয়াকে আইনগতভাবে মুক্ত করতে পারিনি। তার প্রধান কারণ হরো রাজনৈতিক। এজন্যই তার মুক্তি হয়নি। তিনি জামিন পাননি। কিন্তু আমরা ছেড়ে দেবো না। আমরা আশা হারাবো না। খালেদা জিয়াকে আমি যতটুকু চিনি, তিনি এখনও অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিয়ে আছেন। তিনি শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ। কিন্তু মানসিকভাবে অত্যন্ত সবল এবং তিনি কোনও ধরনের আপোষে বিশ্বাস করেন বলে আমি মনে করি না। অতীতেও আমরা তাই দেখেছি।’ 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।