খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এ চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। শুক্রবার (৩ মে) বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন উল্লেখ করে উপাচার্য বলেছেন, ‘আমি গতকাল দুপুরে তার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছি। তখন থেকে জানি, উনি ভালই আছেন। তার ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে।’ 

ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আরও বলেন, ‘তার সমস্যাগুলো ক্রনিক। সেগুলো ওষুধ খেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তবে তিনি সবমিলিয়ে ওভারঅল ভাল আছেন, এইটুকু বলতে পারি।’  

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. তানজিমা পারভিনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবেন কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, চিকিৎসকদের পরার্মশে চলছেন খালেদা জিয়া। তার চিকিৎসা ঠিকমতো চলছে।

আদালতের নির্দেশে ১ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। ৬২১ নম্বর কেবিনে আছেন তিনি। আর তার সঙ্গে যারা রয়েছেন, ৬২২ নম্বর কেবিনে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে তার চিকিৎসার জন্য ২৮ মার্চ মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জিলন মিয়াকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন ডা সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. তানজিমা পারভিন, ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ, ডা. চৌধুরী ইকবাল মাহামুদ। এছাড়া ডা. শামিম আহমেদ এবং ডা. মামুন মেডিক্যাল বোর্ডকে সহযোগিতা করছেন। 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নেওয়ার পর (গত মাসে, এপ্রিলে) এক সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম মাহবুবুল আলম জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলে তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তার পায়ে ও জয়েন্টে ব্যথা আছে, ডায়াবেটিস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, শরীর দুর্বল, ঘুম কম হয়, খাওয়ার রুচি কমে গেছে। এছাড়া হাঁটার সময় অন্যের সহযোগিতা নিচ্ছেন বলেনও জানানো হয়েছিল সেসময়।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দেন আদালত। ওই রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। বিএসএমএমইউতে স্থানান্তরের আগে তিনি সেখানেই ছিলেন।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।