বুধবার (১৫ মে) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এলডিপি আয়োজিত `মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এলডিপি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, ‘আমাদেরই সেই দায়িত্ব নিতে হবে এবং আমি দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। উদ্যোগ নিয়েছি, বিএনপি নেতাদের অনুরোধ করবো নেতৃত্ব দেন, তা না হলে আমাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করুন। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বসে থাকলে চলবে না।’
বিএনপি'র উদ্দেশে অলি আহমদ বলেন, ‘এক জায়গায় একত্রিত হোন। আমাদের হাতকে শক্তিশালী করুন। অথবা আপনাদের হাত শক্তিশালী করার জন্য বলুন, আমরা সেটা করতেও রাজি।’
মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিতে গিয়েও পারিনি মন্তব্য করে অলি আহমদ বলেন, ‘এবার স্বৈরশাসকের হাতে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। বিএনপির যারা আছেন, নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। কারা কারা আসবেন, আমাদের সঙ্গে আসেন।’
বিএনপি সংসদে গিয়ে সরকারকে বৈধতা দিয়েছে দাবি করে অলি আহমদ বলেন, ‘এখানে ২০ দলীয় জোটের অনেকে আছেন। অনুরোধ করবো, অন্যদিকে তাকানোর সুযোগ নেই। অনেকে মধ্যবর্তী নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আসলে এটার মূল স্পিরিটটা দেখতে হবে। বিএনপি সংসদে গেছে, এটাই হলো বাস্তবতা। সরকারকে বৈধতা দিয়েছে, এটাই হলো বাস্তবতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন মানে আড়াই বছর পরে নির্বাচন হবে, বিষয়টি এমন নয়। এটা কাল বা পরশুও হতে পারে। কে বলেছে আগামী নির্বাচনও এ সরকারের অধীনে হবে? এ সরকারের অধীনে তো নির্বাচন করে দেখলাম। এরা তো দিনের বেলা নির্বাচন করে না। কারণ, তারা দিনের আলোতে ভয় পায়, রাতের অন্ধকারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই আমাদেরও মশাল হাতে নিয়ে বের হতে হবে। নিশাচরদের তালাশ করে বের করতে হবে।’
‘জামায়াতকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে’
১৯৭১ সালের ভূমিকার জন্য জামায়াতকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ২০ দলের শরিক দল জামায়াতে ইসলামী। তারা যদি সত্যিকার অর্থে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, তাদের জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে। তাদের পিতারা যে ভুল করেছেন তার জন্য বর্তমানে যারা আছে তাদের জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে। তাদেরও রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া মোহাম্মাদ গোলাম পারোয়ার, এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শাহদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।