মির্জা ফখরুলের সংসদে যোগদানটা একেবারেই আবশ্যক ছিল: কাদের

ওবায়দুল কাদের ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শপথ না নেওয়া সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচিতরা সংসদে যোগ দিয়েছেন। গণফোরামের দুজনও সংসদে এসেছেন। এই অংশগ্রহণ সংখ্যার দিক থেকে নয়, সংসদে যোগদান তাদের বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির পারপাস সার্ভ করার জন্য। যোগদানই যেহেতু করেছেন, সেহেতু ইফেক্টিভ, সবচেয়ে মিনিংফুল বক্তব্য রেখে তাদের বার্তাটা দেশে-বিদেশে সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মির্জা ফখরুলের যোগদানটা একেবারেই আবশ্যক ছিল। অন্যরা হয়তো তাদের ভয়েস সংসদে উত্থাপন করবেন, সোচ্চার হতে চেষ্টা করবেন। কিন্তু ভারভারিত্বের দিক থেকে আমার মনে হয় মির্জা ফখরুল পারপাসটা ভালোভাবে সার্ভ করতে পারতেন। শক্তিশালী বিরোধী দলের শক্তিশালী বার্তা তিনি দিতে পারতেন।’

সোমবার (২০ মে) দুপুরে বনানীর সেতু ভবনে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির সংসদে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, বিএনপির যেসব সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, স্থানীয় জনগণ যাদের ভোট দিয়েছেন, দিন যতই যাবে জনগণের পক্ষ থেকে একটা চাপ অনুভব করবেন। এই চাপটা বৃদ্ধি পাবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা সংসদে যাবেন। যেতে হবে তাদের।’

বিরোধীদের শক্তিশালী ভূমিকা, শক্তিশালী ভয়েস সরকারের জন্য ভালো বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এখন তারা সংসদেও কথা বলবেন, সংসদের বাইরেও কথা বলবেন। এতে করে তাদের ভয়েস আরও লাউডে আসবে। এতে সরকারি দলও উপকৃত হবে। সরকারি দল কোনও ভুল করলে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারবে। তারা যদি রাজপথে কোনও আন্দোলন করে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।’

আরও পড়ুন- সময়ের প্রয়োজনে মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পুনর্বণ্টন: ওবায়দুল কাদের