বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন, ‘বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যোগ দেবেন। তিনি আগামী দিনে ঐক্যফ্রন্টের করণীয় ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। বৈঠকে ফ্রন্টের শরিক কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী কিছু বিষয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ফ্রন্টের দুই প্রবীণ নেতা ভূমিকা রাখবেন।’
বৈঠকের আগের দিন রবিবার (৯ জুন) বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে একটি প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে খুব কম সংখ্যক নেতা যোগ দেন। আবদুল মালেক রতন বৈঠকের কথা স্বীকার করলেও ‘তা খুব প্রাথমিক’ বলে মন্তব্য করেন।
ফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, তিনি সোমবারের বৈঠকে যোগ দেবেন।
ফ্রন্টের শরিক কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী আশা করেন, পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
জানতে চাইলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এক বৈঠকেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
এদিকে বিএনপির দায়িত্বশীল একটি পক্ষ বলছে, নেতাদের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করবে, ঐক্যফ্রন্টের সমস্যা সমাধান হচ্ছে কিনা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা আসে। এরপর ঐক্যফ্রন্টের দলগুলো জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনের পর বিএনপি ও গণফোরামের সংসদে যোগ দেওয়া, কর্মসূচি না থাকা ও অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখন পার করছে শীতল সময়।
ভবিষ্যতে ফ্রন্টের ঐক্য কতটা উষ্ণ হবে, তা নির্ভর করছে আজকের বৈঠকের ওপর।