বাজেট দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তামাশা: ডা. শফিক




জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, অনির্বাচিত জাতীয় সংসদে আ হ ম মুস্তফা কামাল মোটা অঙ্কের ঘাটতি বাজেট পেশ করেছেন তা বাস্তবতা বিবর্জিত। গত বছরের বাজেটও সরকার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটও সরকার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে না।



বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় দলটির প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এ তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে আরও বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে বলেও প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়।

জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে ধনীরা খুশি হলেও দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে হতাশার বার্তা দিয়েছে। যেহেতু সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়, তাই দেশের সীমিত আয়ের বৃহৎ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থকে উপেক্ষা করা হয়েছে।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮.২ এবং গত বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭.৮৬, সেটা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সরকার নানা ধরনের গোঁজামিলের আশ্রয় নিয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দাবি করলেও অর্থনীতিবিদগণ তা মানতে রাজি নয়।’

‘এবারও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না’, বলে দাবি করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।

তিনি আরও বলেন, ‘করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। অথচ গত কয়েক বছর ধরে একই পরিমাণ করমুক্ত আয়ের সীমা রাখা হচ্ছে। এটা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তামাশা ছাড়া কিছুই না।’

জামায়াতের নেতা প্রস্তাব করেন, ‘বাস্তবতার নিরিখে করমুক্ত আয়ের সীমা পাঁচ লাখ টাকা হওয়া উচিৎ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার গত বছরও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এবং এবারও তা অর্জন করতে পারবে না।’

ডা. শফিক অভিযোগ করেন, ‘দেশের কর্মক্ষম বেকারদের কর্মসংস্থানের কোনও দিক-নিদের্শনা প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব নয়।’