সরকার ফোর টোয়েন্টি বাজেট পেশ করেছে: মান্না

 

জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মতবিনিময় সভায় অতিথিরা

সরকার একটা ফোর টোয়েন্টি বাজেট পেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি এ বাজেটকে ‘বড়লোকদের ধান্দা’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন।
শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত 'বিদ্যমান পরিস্থিতি: ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।

প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১৫ তম পুনর্গঠন বার্ষিকী উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘সরকার একটা ফোর টোয়েন্টি বাজেট পেশ করেছে। একেবারে সব হচ্ছে বড়লোকদের ধান্দা। কৃষক ধান পুড়িয়ে দিচ্ছে, সরকারের ধান কেনার খবর নেই। যারা পাটকলে কাজ করেন, তাদের ৯ মাস ধরে বেতন দেয় না। তারপরও সরকার বলছে আমরা ধনী থেকে ধনীতর হচ্ছি। এই সরকার হচ্ছে লুটেরাদের সরকার। এই লুটেরাদের সব রকম বাটপারি হাইড (গোপন) করার কথা বলছে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিশরে ৩২ বছর পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ টিকেছে। ৩২ বছর পরে মিশরে যে অভ্যুত্থান হয়েছিল, সেটা দৃষ্টান্তমূলক অভ্যুত্থান হয়েছিল। সেই অর্থে আমাদের এখানে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় থাকার যে স্বৈরতন্ত্র তার বয়স মাত্র ১০ বছর। এখনই আমাদের হতাশার কোনও জায়গা নেই। তবে যা চলছে সেটা আমাদের সামগ্রিক ক্ষতির অংশ।’

গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, একটি অগণতান্ত্রিক অনির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো বাজেট আর কী হতে পারে। জনগণের শক্তি বড় শক্তি। জনগণ রাজনীতির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এটাকে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা ভোটাধিকার ফেরত চাই, গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত চাই। জনগণকে সরকার ভয় পাবে, সরকারকে জনগণ নয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে গণতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের লড়াই শুধু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, লড়াই এই অপশক্তির বিরুদ্ধেও।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার ক্ষমতা ছাড়বে না। কারণ, তারা মনে করে বাঘের পিঠে চড়েছে। সেখান থেকে নামলে তারা মারা পড়বেন। এই কথা আমার না, তাদের মন্ত্রী-এমপিদের কথা। একটি ক্ষমতা সম্মতির ওপর টিকে থাকতে পারে, ডাণ্ডার ওপর নয়। কারণ, বেশি দিন ডাণ্ডা চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব না। বর্তমানে যে শাসন আমাদের দেশে চলছে, তা পাশের দেশের প্রভাবে চলছে বলে মানুষ মনে করছে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক খলিকুজ্জামান, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, নারীনেত্রী ফরিদা আক্তার এবং কমরেড মানস নন্দী প্রমুখ।