খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চার সপ্তাহ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত বিএনপির

২১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদ জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে চার সপ্তাহের কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

বেলা সাড়ে ৫টায় শুরু হওয়া এই বৈঠক সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হয়। স্কাইপে’র মাধ্যমে লন্ডন থেকে বৈঠক যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন,  ‘কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের আইনি প্রক্রিয়ায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাধা দিয়ে সরকার যে বিলম্বিত করছে, তার নিন্দা জানানো হয়েছে। তার মুক্তির দাবিকে আরও বেগবান করার জন্য আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব বিভাগীয় সদরে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এসব কর্মসূচিতে জাতীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।’  

কর্মসূচির ধরন কী হবে জানতে  মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমাবেশ, মিছিল অর্থাৎ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করা হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইতোমধ্যে দলের পক্ষ থেকে বাজেট নিয়ে দেওয়া প্রতিক্রিয়া পাশ করা হয়েছে। এই বাজেটকে জনগণের স্বার্থবিরোধী বাজেট বলেও সমালোচনা করা হয়েছে।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান,  লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।