জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা দেশকে ভালোবাসে এবং তারা দেশপ্রেমিক বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের জামায়াত আর ২০১৯ সালের জামায়াত এক নয়। দেশকে তারা অনেক ভালোবাসে, তাদের মধ্যে অনেক সংশোধনী এসেছে।’ নতুন নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিকাল চারটার কিছু আগে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। এ সময় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও অলি আহমেদ একসঙ্গে গাড়িতে করে প্রেসক্লাবে আসেন। জামায়াতে ইসলামীর কোনও কেন্দ্রীয় নেতা মঞ্চে না থাকলেও দর্শক সারিতে জামায়াতের অনেক কর্মীকে দেখা যায়।
এ প্রসঙ্গে এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কেউ না থাকলেও সাধারণ নেতাকর্মীরা কেউ কেউ এসেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদ ১৮ দফা দাবি আদায়ে ‘জাতীয় মুক্ত মঞ্চ’র ঘোষণা দেন।
এ সময় দর্শক সারিতে থাকা জামায়াত কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে হাততালি দেন।
অলি আহমদের দাবি, জামায়াত নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তারা দেশপ্রেমিক শক্তি। যারা দেশকে ভালোবাসে, দেশকে মুক্ত করতে চায়, দেশবাসীকে মুক্ত করতে চায়, যারাই আমাদের সঙ্গে আসতে চাইবে তাদের আমরা সঙ্গে নেবো। তবে দালাল-বেইমানদের না।
১৮ দফা দাবি আদায়ের জন্য আর কিছু করবেন কিনা জানতে চাইলে অলি আহমদ বলেন, ‘দিস ইজ দ্য বিগিনিং! আগে দেখেন কী হয়। এখানে সব মুক্তিযোদ্ধা, কোনও দালালদের কাজ না।’
আওয়ামী লীগ সরকার না মানলে এই ১৮ দফা দাবি কার কাছে করছেন, জানতে চাইলে অলি আহমদ বলেন, যেহেতু তারা সরকারে আছে তাদেরই বলছি যত তাড়াতাড়ি পারেন, নিজের ভুল উপলব্ধি করে পুনরায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।
১৮ দফা অতীতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে কখনও দেওয়া হয়নি দাবি করে অলি আহমদ বলেন, ‘শুধু সবার একটাই দাবি ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমি যখন বলা শুরু করেছি মধ্যবর্তী নির্বাচন চাই, তখন সবাই বলা শুরু করেছেন। আসলে আমি টেস্ট করার জন্য বলেছিলাম। মধ্যবর্তী নির্বাচন শুদ্ধ কথা নয়, পুনর্নির্বাচন শুদ্ধ কথা।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমদ, জাগপা নেতা তাসমিয়া প্রধান, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা আহমদ আলি কাসেমী, ইসলামী সংগীতশিল্পী মুহিব খান। মঞ্চে না বসলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া প্রমুখ।
ছবি: সাজ্জাদ হোসাইন
আরও পড়ুন:
নতুন নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’র ঘোষণা অলির