ডেঙ্গু মোকাবিলায় সমন্বিত কমিটি করার পরামর্শ নাসিমের





মোহাম্মদ নাসিম (ছবি: সংগৃহীত)

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিতভাবে কাজ করতে কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
রবিবার (২৮ জুলাই) ডেঙ্গু ও গুজব মোকাবিলায় ১৪ দল আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ গোলটেবিল আলোচনায় পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ১৪ দলের নেতারা মতবিনিময় করেন।
এতে মোহাম্মদ নাসিম ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অহেতুক, অযৌক্তিক কথা না বলে ডেঙ্গুর উৎস এডিস মশা দমনে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। বলেন, ‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মনোভাব নিয়ে কাজ করুন। আমরা অবশ্যই ডেঙ্গু মশা নির্মূল করতে পারবো।’
মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, ‘গুজব রটানোর সঙ্গে যারা জড়িত শক্তভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা কোনও দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে দেবো না। প্রিয়া সাহার জন্য সেটা হবে না। আমরা সমস্ত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো।’
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সরকার ও প্রশাসন সজাগ আছে। ডেঙ্গু নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গি দমনে সফল হয়েছেন, ডেঙ্গু দমনেও সফল হবেন।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘একটি মহল গুজব ছড়িয়ে দেশের অগ্রগতি নস্যাৎ করতে চায়, স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করতে চায়।’ প্রিয়া সাহাকে অর্গানাইজড ওয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান গেলে সহজে দেখা করতে পারেন না। অথচ প্রিয়া সাহা এত সহজে দেখা করতে পারলো?’
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘জামায়াত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। জামায়াতের এই অপপ্রচার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছাতো না।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের নেতা ও খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারির দিকে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি কমিটি গঠন করা দরকার।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম মুকুল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ নেতা অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক, প্রকৌশলী নেতা নুরুজ্জামান প্রমুখ।