ডেঙ্গুতে ব্যস্ত রেখে অপশক্তি যেন কিছু ঘটাতে না পারে: কাদের

বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদেরআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগস্ট মাসে অপশক্তির তৎপরতা বেড়ে যায়। তাই এডিস নিয়ে আমাদের ব্যস্ত রেখে যেন তারা কোনও ঘটনা ঘটাতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

রবিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর শান্তিনগরে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাদের শোকাবহ আগস্টের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই অশুভ শক্তির তৎপরতা বেড়ে যায়। ডেঙ্গু নিধনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যখন ব্যস্ত, সে সুযোগ নিয়ে অশুভ শক্তি যেন দেশে কোনোভাবেই রক্তপাত ঘটাতে না পারে, সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে।’

এ সময় ডেঙ্গু মোকাবিলায় দুই সিটি মেয়র, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।  কাদের বলেন, ‘মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিধনে সিটি করপোরেশন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মন্ত্রী, মেয়রসহ সবাই সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা জনগণকে জানান। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়, এমন কোনও কথা বলা যাবে না। এমন কোনও বক্তব্য দেবেন না, যে বক্তব্যের কারণে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। আপনারা কোনও বক্তব্য দিতে চাইলে একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে ডেঙ্গুমুক্ত না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী ডেঙ্গুবিরোধী অভিযানে মাঠে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু প্রতিরোধে যা যা করার আমরা তাই করবো।’

একটি মহল ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যাতে ঈদের সময় মানুষ বাড়িঘরে না যায়। বাড়িঘরে কেন যাবে না। সবারই ইচ্ছা আছে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার। সবাই যাবেন তবে সতর্ক থাকবেন। এটাই হলো আমাদের অনুরোধ, সতর্ক থাকবেন। কারও জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করে বাড়ি যাবেন, তা না-হলে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা থাকতে পারে। ডেঙ্গু সম্পর্কে রেডিও-টেলিভিশনে সতর্কীকরণ প্রচার করা হয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দলের নির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি  রাশেদ খান মেনন, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন প্রমুখ।