বিএনপি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে: হানিফ

আলোচনা সভায় মাহবুবউল আলম হানিফ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপি দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও ইন্ধন দিয়ে তার সন্তানকে দিয়ে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি আপনাদের। আজ আপনারাই (বিএনপি) নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। আপনি আছেন কারাগারে, আপনার সন্তান আছে পলাতক হিসেবে দেশের বাইরে। ওখান থেকেই ষড়যন্ত্র করছে।’

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজারে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বংশাল থানা আওয়ামী লীগ এই আয়োজন করে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দণ্ডিত, কারাদণ্ড প্রাপ্ত ওই আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির বিধান করার জন্য আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

বৃটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘গোটা দেশবাসীর পক্ষ থেকে ওই দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের কাছে অনুরোধ করবো, যে ব্রিটিশ সরকার বা মার্কিন সরকার আপনারা কথায় কথায় মানবতার কথা বলেন। গণতন্ত্রের কথা বলেন। আজকে একজন অপরাধী, যিনি হত্যাকারী হিসেবে আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত তাকে শেল্টার দিয়ে, তার বিচারের রায় কার্যকর করতে সহায়তা না করে কোন মানবাধিকার আপনারা প্রতিষ্ঠা করছেন- সেটাই আজকে আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন। আপনারা মানবাধিকারের কথাই তো বলেন, সত্যিকারের মানবাধিকার যদি চান, তাহলে এসব দণ্ডপ্রাপ্ত, কুখ্যাত আসামিদেরকে অবিলম্বে আমাদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আদালত কর্তৃক এই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় কার্যকর করার মাধ্যমে আমরা আইনের শাসনের মাধ্যমে এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার পথে এগিয়ে যেতে পারবো।’

বিএনপির সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘খালেদা জিয়া নাটক করার জন্য সিএমএইচ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। উনি দেখতে গেলেন আইভী রহমানকে, মৃত্যুর পথযাত্রী। খালেদা জিয়া আসবেন এই কারণে আইভীর ছেলে এবং মেয়েকে পাশের একটা রুমে নিয়ে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখা হলো প্রায় দুই ঘণ্টা। এত নিষ্ঠুর অমানবিক আচরণ, এটা আল্লাহ পাক সহ্য করেন নাই। সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত আজকে খালেদা জিয়াকে করতে হচ্ছে। ভেবেছিলেন, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে বা এসব অপরাধ করে কোনও দিন আপনার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে না। আল্লাহর বিচার আছে। অপরাধ করলে যে তার শাস্তি হয়, বিচার হয় আজকে দেখুন।’

বংশাল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।