রওশন এরশাদকে সম্মান করি: জিএম কাদের

রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরজাতীয় পার্টিতে চেয়ারম্যান পদ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদেরকে দলের চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। তবে দেড় মাসের মাথায় আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন তার অনুগত নেতারা। এর প্রতিক্রিয়ায় জিএম কাদের বলেছেন, ‘রওশন এরশাদকে সম্মান করি, যতটুকু শুনেছি, তিনি নিজে থেকে নিজের কথা বলেননি।’

তবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু একই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এরশাদ মানে জাপা, জাপা মানে এরশাদ। তিনি (এরশাদ) জিএম কাদেরকে তার অবর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছেন। আমরা রওশন এরশাদকে সম্মান করি, তিনি যা করেছেন তা নিয়ে আমরা কিছু বলবো না।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর চার দিন পর ১৮ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদেরকে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। এরপর ২৩ জুলাই জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে অস্বীকার করে বিবৃতি দেন রওশন এরশাদসহ দলের সাত জন সংসদ সদস্য ও দুই জন প্রেসিডিয়াম সদস্য। তবে, পরবর্তী সময়ে এরশাদের চেহলাম উপলক্ষে কয়েকটি মিলাদ মাহফিলে একসঙ্গে দেখা যায় রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরকে।

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার মনোনয়ন নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে জাতীয় পার্টিতে। এ নিয়ে গত দুই দিন ধরে চলছে চিঠি, পাল্টা চিঠি চালাচালির ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও সংসদ সদস্যরা দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এক পক্ষ চায় জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করতে, অন্য পক্ষ চায় রওশন এরশাদকে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে দলীয় প্যাডে নিজেকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদে নিয়োগ দিতে স্পিকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেন জিএম কাদের। এরপর বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) জিএম কাদেরের চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা গ্রহণ না করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন রওশন এরশাদ।