রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সরকার এখনও করতে পারেনি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন আসামে প্রায় ১৯ লাখ মানুষকে রাষ্ট্রহীন করা হলো, বলা হলো তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, তখন এই নতজানু সরকারকে কোনও প্রতিবাদ করতে দেখি না। এটাই বাস্তবতা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘জোনায়েদ সাকি ভালো কথা বলেছেন, মাঠে যে আন্দোলন, মাঠে যে কাজ, তার মধ্য দিয়ে ঐক্য তৈরি হবে। আমি তার সঙ্গে একমত।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা যখন রাজপথে এসে আন্দোলন শুরু করতে পারবো, তখন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ঐক্য তৈরি হবে। এটাই সত্য।’
ঐক্যফ্রন্ট সক্রিয় আছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে বলছেন, ঐক্যফ্রন্টকে সক্রিয় দেখতে পারছেন না। কোন দিক দিয়ে সক্রিয় নয়?’
জনগণের চাহিদার কারণে দ্রুত ঐক্য তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ঐক্যের কোনও বিকল্প নেই। সে কারণে নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্ট তৈরি করেছিলাম, জোট করেছিলাম। সেই ঐক্য এখনও অটুট আছে। সেখানে কোনও ভাঙন ধরেনি।’
সরকার সম্পূর্ণভাবে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ইতোপূর্বেও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না, কোনও দিন করেনি, তারা একটি ফ্যাসিস্ট শক্তি।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, এস এম আকরাম, মোমিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুলসহ অনেকেই।