ছাত্রদলের অভিযোগ, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে হাকিম চত্বরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিল। এসময় ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস এসে তাদের ক্যাম্পাস থেকে দ্রুত চলে যেতে বলেন এবং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে তারা ডাসের সামনে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় সেখানে প্রায় ২০০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে ৪০-৫০ নেতাকর্মী সেখানে ছিলেন। তখন ২০-২৫ জন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে রড, স্টাম্প ও লাঠি ছিল।
সঞ্জিতের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সঞ্জিত বলেন, ‘আমরা কাউকে হামলার নির্দেশ দেইনি। এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত না। বিষয়টি আমি ফোনে জানতে পেরেছি।’
হামলার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। ঢামেকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট দেখেছি জয় বাংলা বলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের ৩০-৪০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’
দুপুর ১টার দিকে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে এসে ভিড় করে।
হামলার ঘটনায় তিনজন সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন। তাদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, আনিসুর রহমান, রাহাতুল ইসলাম রাফি ও আফসার মুন্না।