তবে নিজ দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক সহযোগী বিএনপিকে না রাখলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী এক নেতাকে মঞ্চে জায়গা দিয়েছেন অলি আহমদ।
সভায় বিএনপিকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ।
এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ বলেন, দেশ এখন ‘এক ধরনের দোজখে’ পরিণত হয়েছে। আর ঘরে বসে থাকলে দেশে শান্তি ফিরবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করি। এতে করে সরকারের বিদায় ঘণ্টার ধ্বনি শোনা যাবে।’
অনুষ্ঠানে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ তার বক্তব্যে সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, জালিমের অবসানে জাতীয় মঞ্চে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে এলডিপি মহাসচিব বলেন, নেত্রীর মুক্তির জন্য যারা আজকে রাজপথে নামবে, তাদের দলের নেতারা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে কোনও আন্দোলনে যাচ্ছে না। আপনারা অভিশপ্ত নেতৃত্ব, দেশের মানুষ আপনাদের কোনোদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে না- এটুকু আমি এলডিপির মহাসচিব হিসেবে বলতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মওদুদ ভাই বলেন, একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে বের করবো; খন্দকার মোশাররফ বলেন, একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে বের করবো- নেত্রী আর কয়েকদিন পর মারা যাবেন। আমরা মনে করি, এর দায় শেখ হাসিনাকে নিতে হবে।’
এদিকে বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, অলি আহমদ বিএনপির কোনও প্রতিনিধিকে না রাখায় বা না ডাকায় নেতারা বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে জোটের বাইরে-ভেতরে আলোচনা হচ্ছে।