চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সংগঠনের ২০তম সম্মেলনে (২২ ও ২৩ অক্টোবর ২০১৬ অনুষ্ঠিত) প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জয়নাল হাজারীকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করেন।
জয়নাল হাজারী শ্রম, মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে সংগঠনে নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত করতে সহায়তা করবেন বলে চিঠিতে আশা প্রকাশ করা হয়।
উপদেষ্টা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জয়নাল হাজারী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি এইমাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে উপদেষ্টা হওয়ার চিঠিটি গ্রহণ করেছি।
এরআগে, ২ অক্টোবর গণভবনে অনুষ্ঠিত এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেনীর আলোচিত নেতা ও আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীকে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে, পরদিন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাজারীকে উপদেষ্টা করার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
সাধারণত উপদেষ্টা পরিষদ বা সংগঠনের অন্য কোনও পদে কাউকে নিয়োগ বা মনোনয়ন দিলে দল থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে, প্রায় এক মাস আগে হাজারীকে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য করার সিদ্ধান্ত হলেও এতদিন তাকে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি বা গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি। সোমবারই তাকে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপদেষ্টা করার বিষয়টি জানানো হলো।
জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে সংসদ সদস্য হিসেবে তার শেষ মেয়াদে বিভিন্ন বিতর্কে জড়ান জয়নাল হাজারী। ২০০৪ সালে দল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ফেনী থেকে হাজারিকা নামে প্রকাশিত একটি দৈনিকের সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।