বিএনপির সমাবেশ শুক্রবার





বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরের পর সমাবেশ শুরু হবে। ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে অনুমতি পেয়েছে দলটি। বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ এই তথ্য জানান।
এরআগে, বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামের সঙ্গে সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা আজ অনুমতির জন্য অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামের কাছে গিয়েছিলাম। সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, এই দুই জায়গার নাম প্রস্তাব করেছি। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে আমাদের সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে।’
এদিকে, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে বলেছেন, ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। ৭৫-এর ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে আমাদের মাতৃভূমি প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত হয়। স্বদেশবাসীর জাগরিত দৈশিক চেতনায় পরাজিত হয় আধিপত্যকামী শক্তির অশুভ ইচ্ছা। ১৯৭৫ সালের এ দিনে আধিপত্যবাদী শক্তির নীলনকশা প্রতিহত করে এদেশের বীর সৈনিক ও জনতা। সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠে। ৭ নভেম্বর বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান আমাদের সে পথ দেখিয়ে গেছেন, তার প্রদর্শিত পথ ধরেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন-অগ্রগতির মহাসড়কে উঠে এসেছে।’ জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব অপরিসীম বলেও তিনি মন্তব্য করেন।