শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মঈন উদ্দীন খান বাদলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘মঈন উদ্দীন খান বাদল ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান রয়েছে। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও শান্তি সম্প্রীতির রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। সংসদে তিনি বলিষ্ঠ কণ্ঠে কথা বলতেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তবে, স্বাধীনতার পর তিনি জাসদে যোগ দেন। তিনি আমাদের ঐক্যজোটের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ও সংসদে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। আমি সব সময় তার অসুস্থতার খবর নিতাম। তার স্ত্রীর কাছ থেকে আমি ম্যাসেজ পেতাম। আজ যখন মৃত্যুর সংবাদ পাই, বড় ধাক্কা লাগলো। ভাবতেই পারিনি তিনি এভাবে চলে যাবেন। সংসদ শুরু হবে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে সংসদে আসবেন, কথা বলবেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্য তার সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আমরা সংসদে শুনতে পারবো না। তার মৃত্যু রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করলো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে চলেই যেতে হবে। মৃত্যু সত্য। এই সত্য মেনে নেওয়া কঠিন। কিন্তু মেনে নিতেই হয়।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, লাশ নিয়ে আসার জন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাইকমিশনার থেকে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মরহুম বাদলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, ‘তার বক্তব্য আমরা মন দিয়ে শুনতাম। তার থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল, অনেক কিছু জানার ছিল।’
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে সংসদ কার্যক্রম পরিচালনাসহ আইন প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বয়সে আমার ছোট হলেও দীর্ঘদিনের পুরনো কর্মী ও সহযোগী। জন্মলগ্ন থেকেই তিনি জাসদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমার সহকর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবিরোধী সংগ্রামে তার ভূমিকা রয়েছে।’
ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সফল মুক্তিযোদ্ধা তিনি। পাকিস্তান বাহিনীর কাছে তিনি আতঙ্ক ছিলেন। সংসদে তার বাচনভঙ্গি ও দৃঢ়তা আমাদের মুগ্ধ করতো।’
শোক প্রস্তাবেরও পর অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ নাসিম, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, আ স ম ফিরোজ, শাজাহান খান, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।
আরও খবর...
সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল আর নেই