মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রের অঙ্গীকারকে লক্ষ্য নির্ধারণ করছে ‘জন আকাঙ্ক্ষা’

জন আকাঙ্খার বাংলাদেশ এর মূল সমন্বয়ক মজিবুর রহমান১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে বর্ণিত অঙ্গীকারগুলোকে সামনে রেখেই গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করছে ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে ইতোমধ্যে খসড়া গঠনতন্ত্র তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি কর্মশালা করেছে জামায়াতে ইসলামী থেকে বেরিয়ে আসা সংগঠনটির উদ্যোক্তা ও সংগঠকরা।
গত ফেব্রুয়ারিতে জামায়াত থেকে বহিষ্কৃত সংগঠনটির মূল সমন্বয়ক মজিবুর রহমান মনজু এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকাল খসড়া গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। বিগত রাজনীতির কোনও যুক্ততা এখানে নেই, বরং মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত তিনটি অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলাই দলের মূল লক্ষ্য হিসেবে প্রস্তাবনায় রাখা হয়েছে।’ আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির আহ্বান হিসেবে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে বলে তিনি জানান।
সংগঠনটির একটি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গঠনতন্ত্র, মেনিফেস্টো ও কর্মসূচি প্রণয়ন নিয়ে দিনব্যাপী আলোচনা হয়। সভায় অংশগ্রহণ করেন ৬৯ এর ছাত্র আন্দোলনের নেতা জাহাঙ্গীর চৌধুরী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, শিল্প উদ্যোক্তা মোস্তফা বিন মালেক, মহিউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, এস কে মন্ডল প্রমুখ।
কর্মশালায় সংগঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। প্রসঙ্গত, তাজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের দলীয় আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।

আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত জামায়াত নেতা মনজুর দল গঠনে অগ্রগতি কতটা

                শিবিরের সাবেক সভাপতি মঞ্জু জামায়াত থেকে বহিষ্কার