জমিয়তের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে পেঁয়াজের মূল্যে চরম নৈরাজ্য চলছে। ৩০-৩৫ টাকা দরে খুচরায় বিক্রয় হওয়া পেঁয়াজ ২৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এমন খবরও ছড়ানো হচ্ছে, পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চাল, ডাল, তেল ও তরকারির ক্রমবর্ধমান উচ্চমূল্য। ব্যবসায়ীরা যেন মূল্য বৃদ্ধির নিষ্ঠুর উৎসব শুরু করছে। এতে দেশের সাধারণ মানুষ ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।’
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, ‘ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসকারী প্রবাসীদের তথ্য মতে, এককেজি পেঁয়াজ বাংলাদেশি মুদ্রার হিসাবে ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে এসব দেশে। অন্যদিকে,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমাদের দেশে আছে, তা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। তাহলে লাগামহীনভাবে দাম বাড়ছে কেন?’
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে কম মূল্যের পাশাপাশি দেশে পর্যাপ্ত মজুত সত্ত্বেও দীর্ঘ দেড় মাসেও পেঁয়াজের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার দায় এড়ানোর সুযোগ সরকারের নেই। এতে প্রমাণিত হয়, সরকারের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে প্রশাসন অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না, অথবা সরকারের শাসনতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ব্যবসায়ীরা নৈরাজ্য চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। যদি এমন না হয়, তাহলে সংসদে শিল্পমন্ত্রী যেদিন বললেন বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে, তার পরদিনই এক লাফে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে সেটা ৩/৪ দিনের মাথায় দ্বিগুণ মূল্যে পৌঁছে কী করে?’
নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘সরকারকে হয় দ্রুত আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মূল্যে পেঁয়াজের বাজার মূল্য নিশ্চিত করতে হবে, অথবা ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে।’