রবিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে নতুন এই আইন কার্যকর হচ্ছে। এদিন দুপুরে রাজধানীর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশে সড়কে শৃঙ্খলার অভাব একটি বড় সংকট। এই শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে যাচ্ছি। নতুন সড়ক আইনে বেশি জরিমানা মানে বেশি অর্থ নেওয়া নয়। বেশি জরিমানা দিলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। তবে এই জরিমানা ধাপে ধাপে বাড়বে।’ পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলার জন্য সচেতনতাও বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কিছু গাড়ি আছে, তারা সিটিং (সার্ভিস) লিখে রাখে। আসলে তারা সিটিং না, চিটিং সার্ভিস।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন আইন আজ থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে। কিছু দিন শিথিল করেছিলাম সচেতনতা বাড়াতে। দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম, সেটা শেষ হয়েছে।’
এ সময় তিনি জানান, পুলিশ যাতে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক না থাকে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য মোটরসাইকেল দায়ী। তারা নিজেদের পথের রাজা মনে করে। এটা একটা উপদ্রব। আর যারা বাইকে হেলমেট পরে না, তারা হলো রাজনৈতিক কর্মী।’
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সারা দেশে ধর্মঘট করে একটা অচল অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছিল মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের চ্যালেঞ্জ আমি মোকাবিলা করে আসছি। এখনও বিভিন্ন জায়গায় সড়ক আইন মানে না, মানবে না। ফ্রি-স্টাইলে চলছে। আমি আজকে এ কথাই বলতে আসছি, রাস্তায় চলতে গেলে শৃঙ্খলা মানতে হবে।’
আইন বাস্তবায়নে সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।