জেএসডি’র রতনপন্থীদের কনভেনশন ১১ জানুয়ারি

জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলননিজেদের আসল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) দাবি করে ১১ জানুয়ারি কনভেনশন ডেকেছে দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনপন্থীরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম ফারুক বলেন, ‘আপনারা জানেন যে জেএসডি সব অন্যায়, অবিচার, জাতীয় স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপ এবং ক্রিয়াকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী দল হিসেবে পরিচিত। এই পরিচয় অর্জন করতে গিয়ে কর্নেল তাহের ফাঁসির মঞ্চে ঝুলেছেন এবং সিদ্দিক মাস্টার, অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেনসহ প্রায় ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। অথচ জেএসডি নেতৃত্বের একাংশ আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করেছে। প্রথমে একে নির্বাচনি ঐক্য বলা হলেও নির্বাচনের পর এটি আরও ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হচ্ছে। তারা দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা বাদ দিয়ে ব্যক্তিতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ও কোটারিতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। গঠনতন্ত্রবিহীনভাবে কাউন্সিল করে ব্যক্তির ইচ্ছামত নেতৃত্ব নির্ধারণ করার দিকে এগুচ্ছে যা দলের নেতাকর্মীরা মেনে নেননি। তাই তাদের প্রেরণাতেই আমরা আগামী ১১ জানুয়ারি জাতীয় কনভেনশন করার ঘোষণা দিচ্ছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবদুল মালেক রতন বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র না থাকায় কাউন্সিলের কোনও বৈধতা থাকে না। আমরা বলেছিলাম, আগে গঠনতন্ত্র তৈরি হোক, এরপর কাউন্সিল করা যাবে। কিন্তু রব ভাই তা মানলেন না। ফলে আমরা নতুন করে আগে কনভেনশন করবো। সেখানে গঠনতন্ত্র, মেনিফেস্টো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু চূড়ান্ত করে কাউন্সিল করবো। আগের গঠনতন্ত্রকে অনুমোদন দিয়েও কাউন্সিল করা যেতো। কিন্তু কোনোটিই করতে রাজি নন রব ভাই। ফলে ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিল অবৈধ।’
দলের এই ভাঙ্গনের জন্য কে দায়ী—সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মালেক রতন বলেন, ‘এই অবস্থার জন্য দলের নেতৃত্বের একাংশ দায়ী। আমি যেহেতু দলের সাধারণ সম্পাদক। একটা দলের নেতৃত্বে আরেকটা অংশ থাকে। সেটা কে তা আপনারাই বুঝতে পারেন।’ সংবাদ সম্মেলনে জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ গোফরান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া খন্দকারসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: রবের পার্টিতে ভাঙন, আলাদা কনভেনশন ডেকেছেন রতন