বিএনপির কাছে কি গুরুত্ব হারালো বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি?





বিএনপিবাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর কাওরান বাজারের টিসিবি মিলনায়তনে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ওপর গণশুনানি করতে যাচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে চার জন নেতা এই গণশুনানিতে অংশ নেবেন বলে গত ১৬ নভেম্বর জানানো হয়। কিন্তু মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীর্ষ দুজন নেতা গণশুনানিতে উপস্থিত থাকছেন না। ফলে এই গণশুনানি বিএনপির কাছে মূল্য হারিয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

গত ১৬ নভেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির গণশুনানিতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত থাকবেন।
কিন্তু মঙ্গলবার খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, আজকের শুনানিতে অংশ নেবেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও এবিএম মোশাররফ হোসেন। বাকি গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য অংশ নেবেন না।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল্লাহ আল কায়েস জানান, ছোট ভাইয়ের চিকিৎসার কাজে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন টুকু। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আর বরকতউল্লাহ বুলু দেশে থাকলেও তিনি গণশুনানিতে অংশ নেবেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এসব গণশুনানিতে অংশ নিই না। কেন আমার নাম এসেছে, তাও বলতে পারবো না।’
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আমি ও মোশাররফ হোসেন বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির গণশুনানিতে অংশ নেবো। অন্যরা কেন অংশ নিচ্ছে না, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
বিএনপির প্রশিক্ষণ-বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আসলে সেখানে আমাদের কতটুকু বলার সুযোগ বা সময় দেয় সেটাই হচ্ছে বড় বিষয়। আমরা মনে করি, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে গিয়ে কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। এটা বন্ধ করে দিলে বিদ্যুতে সরকার যে ৯ হাজার কোটি ভর্তুকি দেওয়া কথা বলছে, তা আর লাগবে না।’
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-সহ ৬টি বিতরণ কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ওপর এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শুনানি শেষে ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে মূল্যের বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট আদেশ পাওয়ার কথা রয়েছে।