মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যে সরকার বলা হয়, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সেই সরকার না। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আস্তে আস্তে শিথিল হচ্ছে।’
দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ১১ বছর হয়ে গেছে এই সরকারের। দেশের মানুষ এখন অতিষ্ঠ, তারা পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তন যত শিগগির আসবে দেশের জন্য ততই মঙ্গল হবে।
দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রায় বন্ধ মন্তব্য করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দুর্নীতি প্রশাসনের প্রত্যেকটি শাখা-প্রশাখায় ঢুকে পড়েছে। তারা যতই অভিযানের কথা বলুক, দুর্নীতির সমাধান করতে পারবে না। আপনারা দেখেছেন এই অভিযান এখনই প্রায় শেষ। সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজকে দুর্নীতির চিত্র দেখতে পাই।’
দুর্নীতিবাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের পদত্যাগ করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। তারা দলীয়ভাবে নির্বাচিত। তারা নিজেদের মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হননি। দলের কারণে তারা সেসব পদে আছেন এবং দুর্নীতি করছেন।
মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া উচিত মন্তব্য করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আমি আশা করছি সুপ্রিম কোর্ট আগামী শুনানিতে তাকে জামিন দেবেন। যদি না দেন তাহলে মনে করতে হবে রাজনৈতিক কারণে তাকে জামিন দিচ্ছেন না।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান প্রমুখ।