শনিবার (৩০ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ‘এ হামলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খানসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
বিএনপির মহাসচিব সিপিবির ওপর হামলার বিষয়টিকে ‘সরকারের নৃশংস ঘটনা’ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও তাদের পেটোয়া বাহিনীর হাত থেকে কেউ নিরাপদ নয়। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা অনিশ্চিত। দেশজুড়েই চলছে সরকার সমর্থকদের তাণ্ডব। বিরোধী দলসহ ভিন্নমতের মানুষদের কণ্ঠরোধ করার জন্য সারাদেশে তারা গড়ে তুলেছে সন্ত্রাসী পরিকাঠামো। তাদের মাধ্যমে জনপদের পর জনপদে রক্ত ঝরছে, অত্যাচারিত হচ্ছে বিরোধীপক্ষের মানুষসহ সাধারণ জনগণ।’
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় থাকার জন্যই তাদের বিকৃত ক্ষমতাক্ষুধায় দেশে বিরাজ করছে এক ভীতির পরিবেশ। তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য। জবাবদিহিতা সরিয়ে দিয়েছে লুটপাটের রাজত্বকে নিষ্কণ্টক করার জন্য। অনাচার-অবিচারের এক মধ্যযুগীয় বর্বর শাসনের মধ্যে জনগণ রুদ্ধশ্বাস অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘গুম-খুনের ব্যাপক বিস্তারে রাষ্ট্রের অমানবিক চেহারা দান করেছে এই সরকার। দেশ এখন গোরস্থানের নীরবতার মধ্যে নিমজ্জিত। এক ভীতিকর নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবে গেছে দেশ। ক্ষমতাকে আঁকড়ে রাখার জন্য এই ভয়াল পরিবেশ বিদ্যমান রেখেছে এই সরকার।’
বিরোধীদের ব্যাপারে সরকারের ভীতির কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘বিরোধী দল ও মতের শান্তিপূর্ণ যেকোনও কর্মসূচিতেই সরকার নিজেকে নিরাপদ ভাবছে না বলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ শিকার সিপিবির সাবেক সভাপতিসহ তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা। তবে সরকারের অন্যায়ের বোঝা এত বেশি হয়ে গেছে যে, তার ভারেই সরকারের পতন অতি নিকটে।’
বিবৃতিতে ফখরুল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, জনগণ আর বসে থাকবে না, গণআন্দোলনে ভেসে যাবে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।