খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়ার সুযোগ আছে: ড. কামাল

ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে ড. কামাল হোসেনসহ অন্যরাউচ্চ আদালত থেকে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া মানবিক কারণে জামিন পাওয়ার যোগ্য।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে নিজ চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশ্ন ছিল, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার যে মামলার শুনানি চলছে, সে মামলায় তার জামিন পাওয়ার সুযোগ আছে কিনা। এর জবাবে ড. কামাল আরও বলেন, ‘সুযোগ অবশ্যই আছে। এর চেয়ে পরিষ্কার করে আর কী বলবো?’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মানবিক কারণে খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য। আজকের সভায় স্পষ্টভাবে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তাদের লিখিত বক্তব্যে সব আছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভায় খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ৬৬৪ দিন ধরে বন্দি রাখা হয়েছে বলে সভায় মত এসেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যে মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে তা অন্যায়। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আমরা তার আশু মুক্তি দাবি করছি। এ দাবি মানবিক এবং তিনি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন।’ অন্যথায় তার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর বর্তাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আমরা ২২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তরিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, তিনি আইজি প্রিজনকে বলে দিয়েছেন। আমরা নামের তালিকা পাঠিয়েছি। কিন্তু খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারা একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।