সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা থেকে সোয়া ১ ঘণ্টা বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। অনেকটা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেলিনা ইসলাম।
তিনি ছাড়াও এদিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার স্বামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা এবং ছেলে অভিক এস্কান্দার। তারা হাসপাতালে যাওয়ার সময় বড় দুটি ব্যাগে করে খালেদা জিয়ার জন্য রান্নাকরা খাবারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যান।
নিজের জামিন না হওয়াকে নজিরবিহীন বলেছেন খালেদা জিয়া, এমনটা জানিয়ে সেলিনা ইসলাম বলেন, তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
খালেদা জিয়া নিজে কিছুই করতে পারছেন না বলে মন্তব্য করে সেলিনা ইসলাম বলেন, ‘তার পেটে ব্যথা হচ্ছে। ডাক্তার ওষুধ দিচ্ছেন না, ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না। এখানে তিনি কীভাবে বাঁচবেন?’
তিনি বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) উন্নত চিকিৎসা দরকার। এত অসুস্থ মানুষ, বয়স হয়ে গেছে। তিনি হাঁটাচলা করতে পারছেন না। খেতেও পারছেন না, বসতেও পারছেন না। সরকার তো জামিন তাকে দিলো না। এখন আমরা কী করবো?’
খালেদা জিয়ার সুগার নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে দাবি করে সেলিনা ইসলাম বলেন, ‘১২-এর নিচে কোনোদিনও ফাস্ট-ইন সুগার আসেনি। আজ তার সুগার ১৪ থেকে ১৫।’
খালেদা জিয়ার জামিন যেহেতু হচ্ছে না, প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে কোনও কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেলিনা ইসলাম বলেন, ‘না, এরকম কোনও কথা হয়নি।’
খালেদা জিয়ার বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় জামিন হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন বোন সেলিনা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জামিন মানে তো ছেড়ে দেওয়া বা মুক্তি না। তিনি জামিনে থাকবেন।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে হাসপাতালে ভেতরে যাওয়ার পর বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন তার মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদারসহ বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী।