‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ বৈধতা পাওয়ার শঙ্কা রুমিনের

ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা (সংগৃহীত ছবি)বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বৈধতা পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। মঙ্গলবার সংসদে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বক্তব্য প্রসঙ্গে রুমিন বলেন, ‘২০১৯ সালে গড়ে প্রতিদিন একজনের বেশি মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড খুব সম্ভবত বৈধ হতে যাচ্ছে। কারণ, গতকাল (মঙ্গলবার) আমরা দেখেছি সরকারি ও প্রধান বিরোধী উভয় দলই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে কথা বলেছে।’

বুধবার সংসদে ৭১ বিধির বাতিল নোটিশের ওপর দুই মিনিটের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে বারবার মারধরের কারণ জানতে চেয়ে তিনি বলেন, ভিপি নুর কেন বারবার মার খাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো আমারও এই প্রশ্ন। প্রথমবার মারধরের পর কোনও বিচার হয়নি বলেই হয়তো বারবার মার খায়। আর এটা প্রমাণ করে দেশে আইনের শাসন তার নিজ গতিতে চলে না। চলে সরকারের গতিতে। আইন সরকারের গতিতে চলে বলেই সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৭০ বারের মতো পেছানো হলো। যেকোনও ঘটনা ঘটার পর সরকার যেভাবে চায় ঠিক সেভাবেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসনের অনুপস্থিতি ও ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের কিছু নজির আমরা দেখতে পেলাম আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্টে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে আগের বছরের দ্বিগুণ হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৭৬ জন। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন। গ্রেফতারের আগে নির্যাতনে মারা গেছেন ৬ জন। গুলিতে নিহত হয়েছেন আরও ১২ জন। এরকম শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণের পর ৪৮৭ জন শিশু নিহত হয়েছে। গণপিটুনিতে মারা গেছেন ৬৫ জন। ১৪২ জন সাংবাদিক শারীরিক নির্যাতন, হামলা, হুমকির শিকার হয়েছেন। কর্তৃত্ববাদী সরকারের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার প্রধান অস্ত্র ভীতির পরিবেশ তৈরি করা। যেকোনও উপায়ে ভিন্নমত দমন। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার, পুলিশ প্রশাসনকে ব্ল্যাংকচেক দেওয়া, বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ।