বিএনপি অস্ত্রধারী গুণ্ডাদের ঢাকায় জড়ো করছে: কাদের

ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি)

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে বিএনপি ঢাকার বাইরে থেকে অস্ত্রধারী গুণ্ডাদের ঢাকায় এনে জড়ো করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে খবর পাওয়া যাচ্ছে, বহিরাগত অস্ত্রধারীদের ঢাকায় এনে জড়ো করা হচ্ছে। নির্বাচনি কেন্দ্র দখলের জন্য তারা (বিএনপি) পাঁয়তারা করছে।  বাইরের গুন্ডাদেরকে এনে ইলেকশনের পরিবেশ ক্ষুণ্ন করা,এমনকি নির্বাচনের দিন সশস্ত্র মহড়া দেওয়ার বিষয়টি তারা প্লান করে রেখেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

উদ্বেগের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বলেছি, বিএনপির এমন অবস্থানে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তল্লাশি করে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চান  তাহলে তাদেরকে সেরকম পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। এ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কেননা শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং কর্তৃত্বপরায়ণ অবস্থান থেকে নির্বাচন পরিচালনা করার সকল স্বাধীনতা এবং সুবিধা দিতে প্রস্তুত। 

সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহীদের নিয়ে দলের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনও বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্য নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষুণ্ন হচ্ছে, এমন খবর কি এখন পর্যন্ত আছে? আমরা ইন্টার্নালি বিষয়গুলো দেখছি। এগুলো আমাদের ওপর ছেড়ে দিন। এটা আপনাদের (সাংবাদিক) বিষয় নয়, এটা আমাদের বিষয়। আমাদের ডিসিপ্লিনারি কমিটি আছে, তারা সেগুলো দেখবে। বিদ্রোহীদের কারণে নির্বাচনি পরিবেশ যখন নষ্ট হচ্ছে না, তখন বিষয়গুলো আমাদের ওপর ছেড়ে দেন।

তিনি বলেন, আজকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আগামী এক মাসের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকীয় উপ-কমিটিগুলো গঠন করে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা, থানা কমিটিগুলোর কাউন্সিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়াও, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ স্মরণিকা বের করবে এবং প্রবীণ নেতাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ,দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকে।