মুক্তিমঞ্চ মিটিং করলে গাত্রদাহ হয় কেন: বিএনপিকে অলি

মুক্তিমঞ্চের আলোচনা সভায় কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর প্রতীক)।




নিজের নেতৃত্বাধীন জাতীয় মুক্তিমঞ্চের মিটিং হলে বিএনপির গাত্রদাহ হয় কেন এমন প্রশ্ন ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমদের (বীর বিক্রম)। তিনি বলেন, বিএনপিকে বলছি, হয় সঠিক নেতৃত্ব দেন না হলে আমাদেরকে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। সঠিক নেতৃত্ব দিলে আমরা মেনে নেবো। আর মুক্তিমঞ্চ গঠন হয়েছিল জনগণকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। জাতীয় মুক্তিমঞ্চ কোনও মিটিং করলে আপনাদের গাত্রদাহ হয় কেন?

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এলডিপি কার্যালয়ে জাতীয় মুক্তিমঞ্চের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার পাশে বিএনপি-জোটের শরিক একাধিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ জুন অলি আহমদের নেতৃত্বে জাতীয় মুক্তিমঞ্চ গঠন হয়। এরপর এর রেশ ধরে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল করিম আব্বাসীকে আহ্বায়ক এবং শাহাদাত হোসেন সেলিমকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের এলডিপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।

আলোচনা সভায় বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পাকিস্তান আমলের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেন অলি । তিনি বলেছেন,  আমরা পাকিস্তান আমলের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি। তখন আমরা বিনা বাধায় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, কিন্তু এখন ন্যায্য দাবি নিয়েও মাঠে নামা যায় না।

অলি আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শত চেষ্টা করেও এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, কিন্তু তার মেয়ে করে দেখিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন নাই, মানুষের অধিকার নাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নাই, ব্যাংকে টাকা নাই, ন্যায়বিচার নাই, সর্বত্র দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতি। জনগণ এর থেকে মুক্তি চায়। জনগণের মুক্তি মিললে যেকোনও সময় এ সরকারের পতন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বীর বিক্রম।

এলডিপির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী ডক্টর রেদোয়ান আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তিমঞ্চের সিনিয়র নেতা ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

বক্তব্য রাখেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বাংলাদেশ জমিয়তে ওলামা ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাসেমী, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসমাইলসহ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে এলডিপিতে যোগদান করেন বাংলাদেশ ফুড অ্যান্ড নিউটিশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফরিদ আমিন ও শেখ সানজিদা নাসরিনের নেতৃত্ব কয়েকজন।