খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিবারের আবেদন

খালেদা জিয়া (ছবি- রয়টার্স)বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে আবেদন করেছে তার পরিবার। জানা গেছে, কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে এ আবেদন করা হয়েছে। আইনি বিষয় পর্যালোচনার জন্য এটির কপি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এ নিয়ে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি ও তার পরিবারের কেউ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে রবিবার (৮ মার্চ) বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে আমরা মন্ত্রীর কাছ থেকে সেই চিঠি পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’
তিনি জানান, চিঠিতে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে চান।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার একটি কপি আমি পেয়েছি। এখন এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আমাকে আইনি বিষয়গুলো দেখতে হবে। আর আইনে যেটা বলে, সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনি মতামত দেবে আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সুতরাং আমার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে, আমি এখন দেখবো।’
খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দর বাংলা ট্রিবিউনের কাছে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘আমি তো কোনও মন্তব্য করবো না।’
এর আগে রবিবার সকালে মির্জা ফখরুলও সাংবাদিকদের জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে কী লেখা আছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে যদিও তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমি ঠিক বলতে পারবো না। পরিবারের পক্ষ থেকে করা হলেও হতে পারে। আবেদনে কী আছে আমার জানা নেই।’ স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও জানান, তিনি এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানেন না।

এর আগেও মানবিক কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে তার পরিবার। তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, খালেদা জিয়াকে তারা বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চান। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন এটাই প্রথম।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলে আছেন খালেদা জিয়া। এরপর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন তিনি।