১০ মার্চ রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীর গোবিন্দপুর এলাকায় ৫০টি ঘর এবং ১১ মার্চ মিরপুরের রূপনগর বস্তিতে আগুন লেগে কয়েক’শ বস্তিঘর পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডা. শফিক। তিনি বলেন, ‘বস্তিতে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের লোকেরা বসবাস করে। মানুষ হিসেবে তারা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রাজধানীর বস্তিগুলোতে প্রায়ই আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর কিছুদিন বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে আলোচনা হলেও পরবর্তীতে এটা নিয়ে আর কোনও তৎপরতা দেখা যায় না।’
নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ উদ্ঘাটন করে তার প্রতিকার করা দরকার বলে জানান ডা. শফিক। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য বস্তিবাসীদের মধ্যে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
এ সব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদেরকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করে পুনর্বাসন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।
এদিকে, জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আমির সেলিম উদ্দিন অভিযোগ করেছেন সরকারের উদাসীনতা ও নির্লিপ্ততার কারণেই প্রতিবছরই দেশে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তিনি বলেন, ‘এসব অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপকভাবে জানমালের ক্ষতি হয়ে আসছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়।’ তিনি অগ্নিনির্বাপণে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বুধবার সকালে সেখানে আগুন লাগে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগের সহকারী এস এম আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেলিম উদ্দিন তার সঙ্গীদের নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় জনগণসহ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নগরীতে প্রতিনিয়ত এ ধরনের রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও পুনরাবৃত্তি রোধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
পরিদর্শনকালে সেলিম উদ্দিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, রূপনগর থানা আমির নাসির উদ্দীন প্রমুখ।