‘দুর্যোগকালীন বিশেষ বাজেট’ ঘোষণার দাবি গণসংহতি আন্দোলনের

গণসংহতি আন্দোলন‘দুর্যোগকালীন বিশেষ বাজেট’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জোনায়েদ সাকি নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন। শুক্রবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় দলটির কেন্দ্রীয় দফতরবিষয়ক উপকমিটির সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল দরিদ্র ও কাজ হারানো অসহায় মানুষের জন্য গণরেশনিং এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ‘দুর্যোগকালীন বিশেষ বাজেট’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

দেশব্যাপী লকডাউন পরিস্থিতির কারণে দরিদ্র, দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের চরম দুর্ভোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই দুই নেতা। তারা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে সারাদেশে লকডাউন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে দেশের ছিন্নমূল, দিনমজুর, শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের জীবন তীব্র সংকটের মধ্যে পড়েছে। অবিলম্বে দেশের দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো না গেলে তাদের বেঁচে থাকাই অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে।’

সারাদেশের সব ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে এই দুর্যোগে দরিদ্র মানুষের জন্য গণরেশনিংয়ের উদ্যোগ নিয়ে ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান নেতারা।

পোশাক কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা আরও বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে দেশব্যাপী অফিস-আদালত-দোকানপাট বন্ধ করা হলেও শ্রমঘন গার্মেন্ট কারখানাগুলো বন্ধের ঘোষণা না দিয়ে এখনও খোলা রাখা হয়েছে। বিজিএমইএ মালিকদের প্রতি কারখানা বন্ধের নির্দেশ না দিয়ে শুধু আহ্বান জানানো হয়েছে। এই আহ্বানে মালিকরা সাড়া দিচ্ছে না।’

গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা অনতিবিলম্বে শ্রমিক ও তাদের পরিবারবর্গের স্বাস্থ্য ঝুঁকি লাঘবে কারখানা বন্ধের দাবি জানান। পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে ৫০০০ কোটি টাকার সরকারি প্রণোদনা যেন শ্রমিকরা ঠিকঠাক মতো পান, এরও সঠিক তদারকির দাবি জানান তারা।