অবিলম্বে গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিটের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার দাবি গণসংহতির

গণসংহতি আন্দোলন

করোনা মহামারির সময় ‘গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিট’ শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বের জন্যই একটা আশা জাগানিয়া উদ্ভাবন বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল। তারা অবিলম্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে একটি টেলিভিশন মিডিয়া ট্রায়াল করেছে বলেও অভিযোগ করেন।

রবিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈকত মল্লিক বিবৃতির কথা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান।

গণসংহতি আন্দোলনের দুই নেতা বলেন, ‘‘গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত ওই টেস্টিং কিট সফলভাবে কাজ করে কিনা তার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। সরকারের উচিত সব দীর্ঘসূত্রতা বাদ দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ওই কিটের বৈজ্ঞানিক ট্রায়ালের উদ্যোগ নেওয়া। কেননা, ‘গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিট’ সফল হলে দুনিয়ার মানুষের বিশাল উপকার হবে। কিন্তু ব্যর্থ হলে কারও ক্ষতি হবে না।’’

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ‘সরকার সেই পথে না হেঁটে রাজনৈতিক বিবেচনায় বা কোনও মহলের বাণিজ্যিক স্বার্থে এই দেশীয় উদ্যোগের সঙ্গে চরম অসহযোগিতামূলক আচরণ করছে। ইতোমধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে হেয় করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ও করেছে, যা চরম নিন্দনীয়। দেশীয় উদ্যোগকে স্বাগত না জানিয়ে উল্টো সরকারের অসহযোগিতামূলক আচরণ ক্ষমাহীন অপরাধ।’

জোনায়েদ সাকি ও আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘সব আইনি দীর্ঘসূত্রতা বাদ দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ওই কিটের বৈজ্ঞানিক ট্রায়ালের উদ্যোগ নেওয়া হোক। রাজনৈতিক কারণে, এই উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করার অর্থ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রতিদিন যখন করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন মালিকদের মুনাফার স্বার্থে আবারও পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, যেটা করোনা সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে।’