বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় পাঠানো বাজেট প্রতিক্রিয়ায় হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার এসব দাবি জানান।
জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাসদের দুই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সবাই আশা করেছিল, বৈশ্বিক মহামারি ও জাতীয় বিপর্যয়ের মধ্যে এবারের বাজেট গতানুগতিকতার বাইরে নতুন দিক উন্মোচনকারী বাজেট হবে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টার শুরু এবারের বাজেট থেকেই হওয়া উচিত ছিল। বাজেটে স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, খাদ্য, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ কিছু বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা খুবই সামান্য।’
তারা আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা খাত ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে যতটুকু বরাদ্দ বেড়েছে, সেটাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কীভাবে ব্যয় হবে তা পরিষ্কার নয়। নতুন করে যারা কর্মহীন ও আয়হীন হয়েছে বা হবে, তারা কীভাবে সামাজিক সুরক্ষা খাতে অন্তর্ভুক্ত হবেন— সেটাও পরিষ্কার না। শহর থেকে দুই কোটি মানুষ গ্রামে ফিরে যাবার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তাদের কর্মসংস্থানসহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য পল্লি উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বদলে কমানো হয়েছে। তাই এককথায় বলা যায়, বাজেট প্রস্তাব গতানুগতিকতার গণ্ডিতে আটকে আছে।’
বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা এবং ভয়ঙ্কর দুর্নীতি দূর করে সুশাসন নিশ্চিত করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন জাসদের এই দুই শীর্ষ নেতা। তারা করোনা জরুরি তহবিলে ১০ হাজার কোটি টাকা, ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রীর ওপর ট্যাক্স কমানো, বিলাস দ্রব্যের ওপর ট্যাক্স বাড়ানোকে স্বাগত জানান।