মঙ্গলবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৪৯ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ গণমানুষের মধ্য থেকে গড়ে ওঠা একটি দল। ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে, তখন ভাষাদিবস সরকারিভাবে পালন করা হয়। পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রচিত হয়েছিল। দেশের সব অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুকে যদি স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সপরিবারে হত্যা করা না হতো, কয়েক দশক আগেই আমরা দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়ার চেয়ে অনেক উন্নত রাষ্ট্র থাকতে পারতাম।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী জননেত্রী’আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগের সামনে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে-এ প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত ৭১ বছর ধরে আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে এসেছে। এটি দুঃখজনক যে, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর এখনও আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি নিয়ে কথা বলতে হয়। একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনও তাদের সহযোগী স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি জামাতে ইসলামীর পৃষ্ঠপোষকতা করে। সাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িকতাকে ভূলণ্ঠিত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ রচিত হয়েছিল। কিন্তু আজও এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হয়, আমাদের অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলে। এগুলো অতিক্রম করাই আমাদের সামনের দিনের চলার পথের চ্যালেঞ্জ।’