পাটকল বন্ধ করা বিএনপি-জামাত সরকারের নীতিমালারই অনুকরণ: মেনন

1সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করার সিদ্ধান্তে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তারা বলেন, সরকারের পাটশিল্প বন্ধ করা সিদ্ধান্ত মানেই বিএনপি-জামাত সরকারের নীতিমালারই অনুকরণ মাত্র। রবিবার (২৮ জনু) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনি ওয়াদায় বন্ধ পাটকলগুলো খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করে ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, ক্ষমতায় এসে আদমজি ছাড়া কয়েকটি বন্ধ কারখানা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের দোসর অর্থমন্ত্রী, বর্তমান পাটমন্ত্রী ও কতিপয় আমলার কারসাজিতে এই প্রতিশ্রুতিকে এগিয়ে নেওয়া যায়নি। তারা ষড়যন্ত্র করে লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বন্ধ করার পাঁয়তারা করেছে। এটা বিএনপি-জামাত সরকারের গৃহীত নীতিমালারই অনুকরণ মাত্র।
বিবৃতিতে তারা বলেন, পাটকল পরিচালনা কেন্দ্র বিজেএমসি প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা পাটক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম করেছে। তারা মৌসুমে পাট সরবরাহ করেনি এবং উৎপাদিত পাট পণ্য বিপণনে কোনও ভূমিকা রাখেনি। যাদের কারণে ঐতিহ্যবাহী পাটশিল্প লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলো, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে পাটকল বন্ধ করে কথিত গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দ্বারা শ্রমিকদের বিদায় করা অমূলক।
তারা আরও বলেন, করোনার মহামারির সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা ও শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় ব্যক্তিমালিকানা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনগুণ শ্রমিক ছাঁটাই উৎসাহিত করবে। যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পাটশিল্প ওতপ্রোতভাবে যুক্ত উল্লেখ করে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, ৫০ লাখ পাট চাষি, পাট শ্রমিক, পাট ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এ অবস্থায় পাটকল বন্ধ করার আজগুবি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।