ভয় দেখিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ থেকে বিরত রাখা যাবে না: রিজভী

 

বিএনপিসরকারের অন্যায় ও অন্যায্য আচরণের বিরুদ্ধে বিএনপি কথা বলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা বা প্রতিবাদ করা যাবে না, এমন কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বিরুদ্ধে আঘাত এসেছে, বছরের বছরের পর কারাগারে থেকেছি। কিন্তু তারপরেও কণ্ঠকে রুদ্ধ করা যায়নি। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে এবং রুখে দাঁড়াবে। আমরা আমাদের কর্তব্য কর্ম থেকে বিচ্যুত হবো না। বিএনপিকে ভয় দেখিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ থেকে বিরত রাখা যাবে না।’

মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্ত্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১ টায় মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ‘বছরে কয়েকবার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করা যাবে না’ শীর্ষক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যের আগ মুহূর্তে পুলিশের কর্মকর্তারা এসে অনুমতি ছাড়া মানববন্ধন কেন করা হচ্ছে জানতে চায় এবং বাধার সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর জবাবে রিজভী পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‌‘আর কত ভয় দেখাবেন। কত বিরোধী দল ও বিরোধী মতের ওপর নির্যাতন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে হুমকি দেবেন। চাকরির জন্য, আর কতদিন।’

এসময় বিএনপির ওপর জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘ত্রাণ দিতে গেছি, কেড়ে নিয়েছে। ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষের ছায়া যখন নেমেছে, তখন চলছে এই পরিস্থিতি।’

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, বিদ্যুতের ভৌতিক বিলে অসহায় মধ্যবিত্ত মানুষ হাহাকার করছে। সরকার বলছে, চাহিদার তুলনায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদন করা হয়েছে। তাহলে এই যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদন করা হয়েছে এর বেশিরভাগ রেন্টাল-কুইক রেন্টালের। অর্থাৎ এসব কেন্দ্রের ভাড়া দিতে হচ্ছে সরকারকে এবং বেশি দামে তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে। এই টাকা কে দিচ্ছে? এই টাকা জনগণের পকেট থেকে নিয়ে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। তাহলে কিসের উন্নয়ন? শুধু জনগণের ওপর যাতাকল।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘জনগণকে পিষ্ট করা হচ্ছে আর মানিকগঞ্জে খাবার না পেয়ে বাচ্চা বিক্রি করছে মা। এই হচ্ছে পরিস্থিতি, এটা চলতে পারে না।’

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম নকি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম শামসুল হক, দফতর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ।