নানা আয়োজনে এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

11নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে রংপুরে এরশাদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে মৃত্যুবার্ষিকীর দলীয় কর্মসূচির সূচনা করেন জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এরপর সারাদিন দোয়া, মিলাদ মাহফিল, স্মরণসভা ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন তার স্ত্রী রওশন এরশাদ ও সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকী এবং দলের নেতাকর্মীরা।
রংপুরের পল্লীনিবাসে এরশাদের সমাধিস্থলে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সূরা ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাত করেন জিএম কাদের। এরপর স্থানীয় এক স্মরণ সভায় জিএম কাদের বলেন, এরশাদ মহান নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুর পর অনেকেই আশঙ্কা করেছিল পার্টি ভেঙে যাবে। পার্টিকে ধ্বংস করতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু মানুষের ভালোবাসায় পার্টি এখনো টিকে আছে। পার্টি এখন অনেক সুসংহত এবং ঐক্যবদ্ধ। কোনও অপশক্তি পার্টির এগিয়ে চলা রোধ করতে পারবে না।
সকালে কাকরাইল দলীয় কার্যালয়ে সামনে স্থাপিত এরশাদের প্রতিকৃতিতে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পক্ষ থেকে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।
এদিকে বিকেলে বাদ আসর রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিএম কাদের, সাদ এরশাদ, এরিক এরশাদ, ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার ও পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ।
বিকালে বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙাসহ প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাদ আছর বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদ ট্রাস্ট আয়োজনে স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ, এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ, এরিক এরশাদ ও বিদিশা সিদ্দিক।
এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টি ও উত্তর, জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, মহিলা পার্টি, কৃষক পার্টি, শ্রমিক পার্টি পক্ষ থেকে এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
২০১৯ সালে ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৯ বছর বয়সে মারা যায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।