স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ডিজিকে অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি গণসংহতির

গনসংহতির অবস্থান কর্মসূচিচরম অযোগ্য ও দুর্নীতি সিন্ডিকেটের প্রশ্রয়দাতা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে যদি অবিলম্বে অপসরণ করা না হয় তবে এর দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) জাতীয়  সচিবালয় লিংক রোডে সংগঠনটি আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। তারা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত  চলমান এই অবস্থান কর্মসূচির প্রতিপাদ্য ছিল ‘বিনা চিকিৎসায় আর একটিও মৃত্যু নয়, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির রাঘব-বোয়ালদের গ্রেফতার এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির অপসারণের দাবি।’

অবস্থান কর্মসূচিতে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতসহ সকল খাতেই দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, স্বজনপ্রীতি ও সিন্ডিকেট চরম প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে কাজ করছে। এই করোনাকাল শুরু হওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য খাতের সকল দুর্নীতির চিত্র মানুষের সামনে আসতে শুরু করে। দুর্নীতিবাদ এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা এতটাই বেয়াড়া হয়ে উঠছে যে, লুটপাট করতে যেয়ে মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। করোনা পরীক্ষার সার্টিফেট জালিয়াতি, প্রকৃতপক্ষে গণহত্যার সামিল। এই জালিয়াতির কারণে সারাদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে সারা দুনিয়ার সামনে বাংলাদেশ একটি জালিয়াতের দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, করোনা মহামারি সামাল দিতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের বিপদ টের পেয়ে দলের নেতা-নেত্রী আর মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে। দেশে যখন অর্থনৈকি দুরাবস্থা চলছে, তখন অর্থমন্ত্রী দেশে নেই। তিনি কেন দেশ ছেড়েছেন, কীভাবে গেছেন? আমরা কিন্তু জানি না।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সাহেদের মতো লুটেরা জালিয়াত হঠাৎ করে আসমান থেকে পড়েনি। সরকারের মদদে এবং সরকারের প্রভাবশালীদের ভাগ দিয়েই আস্তে আস্তে বড় হয়েছে। আর দেশে যেহেতু আইনের শাসন নাই, ফলে সাহেদরা ৬ মাসের বেশি কারাগারে থাকবেন না। যেমন জিকে শামীম, সম্রাট বা অন্যান্য দুর্নীতিবাজরা আটক হয়েছে বটে কিন্তু বিভিন্ন হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনে জামাই আদরে বসবাস করছে। এই অবৈধ সরকারই জাতিয়াতি ও লুটপাটের প্রধান মদদদাতা।

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, ডাকসু ভিপি নূরুল হক নূর, রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক ফরিদুল হক প্রমুখ।