মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ছাত্রসমাজ জাতির সংকটে নানা সময়ে অবদান রেখেছে। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম, ’৯০-এর এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আজ করোনাভাইরাসের কারণে অর্থকষ্টে আছেন অভিভাবকরা, তাদের আয় কমেছে। সন্তানের উচ্চশিক্ষা নিয়ে চিন্তিত তারা। এ অবস্থায় সরকার এইচএসসির যে ভর্তি ফি নির্ধারণ করেছে তা অনেক অভিভাবক দিতে পারবেন না।’
সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে এইচএসসির নির্ধারিত ভর্তি ফি অর্ধেক করা হোক। ভর্তি ফি না কমানো হলে আমরা রাজপথে আন্দোলন করে ছাত্র সমাজের এ যৌক্তিক দাবি আদায় করবো।’
তারা আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতির সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে মানুষের আয় কমেছে, নগরের ১৬ ভাগ মানুষ গ্রামে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এর মাঝেও চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট থেমে নেই। পাচার হয়েছে লক্ষ-কোটি টাকা। পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনুন, শিক্ষায় ভর্তুকি দিন, ভর্তি ফি কমান।’
মানববন্ধনে ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল মোতালেব, সাবেক ছাত্রনেতা সাদাকাত হোসেন খান বাবুলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।